অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জিয়াউর রহমানের আমলে পুরো দেশকে কারাগার বানানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র নেতা মঈন খানের এক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মঈন খান ভুলে গেছেন তার বাবা জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন দেশে কারফিউ দিয়ে রাখা হতো। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে কারফিউ থাকতো। পুরো শহর যেন কারাগার ছিল। আজ কি সে পরিস্থিতি আছে? তার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই তিনি বাবার আমলের কথা মনে করে মন্তব্য করছেন।
তিনি আরও বলেন, গুম-খুন জিয়া বাংলাদেশে শুরু করেন। আজ ‘মায়ের কান্না’র সদস্যরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যাদের পরিবারের সদস্যদের জিয়ার আমলে বিনাবিচারে হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে পুরো দেশকে কারাগার বানানো হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। খালেদা জিয়াও তার আমলে এই দেশকে একই কায়দায় কারাগারে বানিয়েছিলেন। ১৩, ১৪, ১৫ সালে খালেদা জিয়ার আহ্বানে যাদের আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের স্বজনদের কান্না বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের প্রতিদিনের টিকিটের ভাড়া একটু বেশি হলেও মাসিক বা ত্রৈমাসিক টিকিট কিনলে ভাড়া অনেক কম পড়বে। দেশে মেট্রোরেল চালু হচ্ছে সেটিই অনেক বড় ব্যাপার। ধীরে ধীরে মেট্রোরেল আরও সম্প্রসারিত হবে।
বিএনপি নেতাদের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন। যাদের জামিন দেওয়া সম্ভব তাদের জামিন দিচ্ছেন। আমানউল্লাহসহ অনেকেই জামিন পেয়েছেন।
৩০ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খেলা দেখেছি। তারা এমন হারা হেরেছে যে আর কী খেলা দেখাবে। ফেসবুকে দেখেছি গরুর হাটে সমাবেশের পর একটি ঘোড়া তিনটি ডিম পেড়েছে। আমি তো মনে করি ৩০ ডিসেম্বর গাধার ডিম পারবে।
তিনি আরও বলেন, নকশাবহির্ভূতভাবে ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২১ তলা বানিয়েছে হোটেল সারিনা। দুদক খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা আইনপ্রণেতা হতে চান তাদের আইনবহির্ভূত কাজ করা উচিত নয়। এমন আরও আছে।
Leave a Reply